বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের নামে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার (২৫শে মার্চ) গণহত্যা দিবস স্মরণে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিতিনি বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।
এনপি ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমি জানতে চাই, আজ দুপুর বেলায় পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছেন, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেন্টারে যুদ্ধ করেছেন?
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজি খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা (বিএনপি) ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে, একদিনে এত বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। রিকশাচালক, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়া সেই জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ৩০ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার স্বীকার হয়েছে, সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। ’৭৫-এর পরবর্তীতে গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ায় ৩০ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের সমাবেশ করছে আজ। সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, শান্তি বাহিনীর কেউ বসে আছে।
সভায় সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।